1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বড়লেখায় সালিসে আমানত রেখে প্রবাসীর চলাচলের রাস্তায় পাকা দেয়াল অবরুদ্ধ স্ত্রী-সন্তান দেড়মাস ধরে বাড়ি ছাড়া, মিলছে না প্রতিকার

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৩৯ বার পঠিত

বড়লেখা প্রতিনিধি:বড়লেখায় ভূমি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সালিসে উভয় পক্ষের আমানত থাকা অবস্থায় এক প্রবাসীর চলাচলের রাস্তায় পাকা দেয়াল তোলার অভিযোগ উঠেছে তারই (প্রবাসীর) চাচাতো ভাইদের উপর। ঘটনাটি উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের অফিসবাজার এলাকার। রাস্তা বন্ধ হওয়ায় ওই প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তান প্রায় দেড়মাস ধরে বাড়ি ছাড়া। বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে গণমান্য ব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও প্রতিকার পাচ্ছেন না প্রবাসীর স্ত্রী।

জানা গেছে, উপজেলার অফিসবাজার এলাকার প্রবাসী আমিনুল ইসলাম সুহেল ও সেলিম আহমদ এবং শামীম আহমদ সম্পর্কে চাচাতো ভাই। তারা একই বাড়ির পাশাপাশি ঘরের বাসিন্দা হওয়ায় একটি রাস্তা ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে চলাচল করতেন। ৭-৮ মাস আগে হঠাৎ করে আমিনুল ইসলাম সুহেলের সাথে ভূমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয় চাচাতো ভাই শামীম ও সেলিমের। এর কয়েক মাস পর প্রবাসে যাওয়ার দিন সকালে সেলিম আহমদ ও শামীম আহমদ দাবি করেন আমিনুল ইসলাম সুহেল ও তার পরিবার বাড়ির যে জায়গা চলাচলের জন্য ব্যবহার করছেন এটা তাদের (সুহেল) না। তাই তারা (সেলিম ও শামীম) সুহেলের পরিবারকে এই জায়গা ব্যবহার করতে দেবে না। তখন ফ্লাইট মিস হওয়ার আশঙ্কায় আমিনুল ইসলাম সুহেল এক চাচাকে বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ার কথা বলে বিদেশ চলে যান। সুহেল প্রবাসে যাওয়ার কিছুদিন পর তাকে (সুহেলকে) না জানিয়ে একদিন বাড়ির সম্পত্তি ভাগবাটোয়ারা জন্য মুহুরি এনে ভাগবাটোয়ারা করা হয়। তবে সুহেল প্রবাসে থাকায় ও তাকে না জানিয়ে ভাগবাটোয়ারা করায় তিনি তাতে আপত্তি জানান। তার আপত্তিতে স্থানীয় মুরব্বিরাও সমর্থন জানিয়ে সুহেল দেশে না আসা পর্যন্ত বিষয়টি যেভাবে ছিল সেভাবে থাকতে উভয় পক্ষকে নির্দেশ দেন। তবে নির্দেশ অমান্য করে ওই রাস্তা ব্যবহার করতে প্রায়ই বাধা দেন শামীম আহমদ। গত রজমানের এক সন্ধ্যায় আমিনুল ইসলাম সুহেলের ঘরে রাস্তা ব্যবহার করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনা নিয়ে শামীম আহমদ গালিগালাজ ও মারমুখী আচরণ করেন। এঅবস্থায় ভয়ে-আতঙ্কে আমিনুল ইসলাম সুহেলের স্ত্রী তার ভাই ও স্থানীয় মুরব্বিদের খবর দেন। খবর পেয়ে মুরব্বিরা আসার আগেই সেখানে উপস্থিত হন সুহেলের শ্যালক ও মামা শ^শুর। তাদের দেখে শামীম আহমদ আরও মারমুখী হয়ে উঠেন। কিছুক্ষণ পর সেখানে উপস্থিত হন স্থানীয় মুরব্বি আব্দুল কুদ্দুস স্বপন, ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ লুলাই প্রমুখ। তবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় তারা থানা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে বিরোধপূর্ণ বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য ৪ সদস্যের সালিস কমিটি করা হয়। কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন- অফিসবাজার ব্যবসায়ী সমিতিরি সাবেক সভাপতি সমাজসেবক আব্দুল কুদ্দুস স্বপন, ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ লুলাই, সমাজসেবক সিরাজ উদ্দিন ও জয়নুল ইসলাম। কমিটি উভয় পক্ষকে ৫০ হাজার টাকা করে আমানত দেওয়ার প্রস্তাব দেন। পাশাপাশি বিষয়টি সামাধান না হওয়া পর্যন্ত রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে প্রবাসীর পরিবারকে বাধা না দিতে শামীম আহমদ ও সেলিমকে নির্দেশ দেন মুরব্বিরা। কিন্তু শামীম আহমদরা মুরব্বিদের নির্দেশ মানেননি। প্রবাসীর স্ত্রী বাড়িতে না থাকার সুযোগে রাতারাতি চলাচলের রাস্তায় দেয়াল নির্মাণ করে ফেলেন শামীম আহমদ। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে প্রবাসী সুহেলের ঘর। বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা একেবারে বন্ধ হওয়ায় প্রবাসী সুহেলের স্ত্রী স্থানীয় মুরব্বিদের জানিয়ে সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান। এরপর থেকে অসহায় হয়ে বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে গণমান্য ব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি। তবে কোথাও কোনো সমাধান পাচ্ছেন না। বিকল্প রাস্তা না থাকায় বাড়িতে প্রবেশ করতে পারছেন না প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তান।

প্রবাসী আমিনুল ইসলাম সুহেলের স্ত্রী বলেন, ‘আমার একটা মেয়ে সামনে এইচএসসি (বিজ্ঞান বিভাগে) পরীক্ষা দেবে। ঘরে তার সকল বইপত্র রয়েছে। চলাচলের রাস্তা বন্ধ হওয়ায় বাড়িতে প্রবেশ করতে পারছি না। প্রায় দেড় মাস ধরে আমরা বাড়ি ছাড়া। অসহায়ের মতো জনপ্রতিনিধি থেকে গণমান্য ব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। কোথাও কোনো বিচার পাচ্ছি না।’

সালিস সদস্য আব্দুল কুদ্দুস স্বপন বলেন, ‘বিষয়টি সমাধানের জন্য আমাদের কাছে রয়েছে। তবে বিচারে থাকা অবস্থায় শামীম আহমদ রাস্তায় দেয়াল দিয়েছেন বলে শুনেছি। রাস্তা বন্ধ করাটা অন্যায় হয়েছে। কারণ ওই পরিবারের চলাচলের বিকল্প কোনো রাস্তা নেই।’

অভিযোগের বিষয়ে শামীম আহমদ বলেন, ‘বিরোধ সমাধানের জন্য আমানত সালিসে আছে এটা ঠিক। আমার জায়গায় রাস্তায় পড়েছে। তাই দেয়াল দিয়েছি। এখানে দেয়াল দিলে যদি বিচার করতে হয়, তাহলে পাশে আরেকজন রাস্তা বন্ধ করে বিল্ডিং করছেন তার বিচারও করতে হবে।’

বড়লেখা থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ‘চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..